সৌদি আরব প্রতিনিধি
সৌদি আরবের আল গাসিম প্রদেশ থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে মরুভূমিতে গড়ে তুলেছে ৩৬৮ হেক্টর জমিতে এক বিশাল কৃষি খামার, কৃষি খামারের উদ্যোক্তা কুমিল্লা জেলার সদর বাটরা পূকুর পাড় নিবাসী ইসমাইল হোসেন। অষ্টম শ্রেনী পাস করে আর্থিক সচ্চলতার জন্য ১৯৯৮ সালে পেট্রো ডলারের দেশ সৌদি আরবে পাড়ি জমান।
এই প্রবাসী ১৯৯৮ সালে সৌদি আরবের আল গাসিম প্রদেশে পাড়ি জমান, এসেই তিনি তার কফিলের কৃষি খামারে কাজ যোগ দেন। চাকরি করেন প্রায় দুই বছর, এরপর কফিলের সহায়তায় নিজেই কৃষি খামার গড়বে চিন্তা থেকেই তিনি মোট ৩৬৮ হেক্টর জমিতে বিরাট কৃষি খামার গড়ে তোলেন এবং প্রায় ১৬ বৎসর এই খামার পরিচালনা করছেন নিজ দায়িত্বে। ১৮০ হেক্টরজমিতে বরছিম নামে অ্যামেরিকান ঘাস চাষ শুরু করেন প্রথমে যে ঘাস সৌদি আরবের রাস্তা, উট ও গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
এরপর ৯৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ, ৭০ হেক্টর জমিতে মরিচ, ১৫ হেক্টর জমিতে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ৮হেক্টর জমিতে বেগুন সহ নানাহ শাক-সবজির চাষ করছেন। উনার এই কৃষি খামারে মোট ১৮০ জন বাংলাদেশী কাজ করছেন। এই প্রবাসী শ্রমিকদের মাসিক বেতন ধরা হয়েছে ১৮০০ সৌদি রিয়াল এছাড়াও থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
এ খামার পরিচালনা করে তিনি ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছেন। এ সবজি রিয়াদ, দাম্মাম, জেদ্দাহ ও আল-গাসিম সহ সৌদি আরবের নানাহ মার্কেটে বিক্রয় করছেন। এই ঘাস ও সবজির চাষ করে অনেক বাংলাদেশিদের কর্ম-সংস্থানসহ তাদের পরিবারের সফলতা আসছে বলে জানান এই কৃষি খামারের উদ্যোক্তা।
তিনি জানান এইভাবে যদি বাংলাদেশি শ্রমিকরা তাদের কর্ম দিয়ে ভালোভাবে কৃষি খামার গড়ে তোলেন তাহলে তারা অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হবেন এবং দেশের রেমিটেন্স খাতে বিরাট ভূমিকা রাখতে পারবেন। উনার এই কৃষি খামার দিয়ে দেশে গরিব অসহায় মানুষদের সহযোগিতা সহ নিজের কুমিল্লা শহরে দুইটি বাড়ি একটি মার্কেট ও ব্যাংক ব্যালেন্স সহ নিজে ও পরিবার স্বচ্ছ ভাবে জীবন যাপন করছেন।
কৃষি উদ্যোক্তা বলেন, প্রবাসিদের শ্রম ও মেধা দিয়ে যে কেউ নিজেকে, নিজের পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে তেমন সময় লাগে না, এ পেশায় যদি কোন বাংলাদেশী প্রবাসী আসতে চায় আমি সর্বাত্মক ভাবে সাহায্য করবো।